
যোগাভ্যাসে মিলবে দূরারোগ্য ব্যাধি থেকে মুক্তি জানালেন যোগা প্রশিক্ষক চিত্রা দে
দেবশ্রী মুখার্জী : যোগ, সিন্ধু সরস্বতী উপত্যকা সভ্যতার একটি ‘অমর সাংস্কৃতিক ফলাফল’ হিসাবে বিবেচিত হচ্ছে – ২৭০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দে, এটি নিজেকে প্রমাণ করেছে যে মানবতার বস্তুগত এবং আধ্যাত্মিক উন্নতি উভয়ের জন্যই খাদ্য সরবরাহ করে। মৌলিক মানবিক মূল্যবোধ হল যোগ সাধনার পরিচয়।
আর, ‘যোগ’ শব্দটি সংস্কৃত মূল ‘যুজ’ থেকে উদ্ভূত, যার অর্থ ‘যোগ দেওয়া’ বা ‘জোয়াল করা’ বা ‘একত্রিত হওয়া’। যোগ শাস্ত্র অনুসারে যোগের অনুশীলন সার্বজনীন চেতনার সাথে স্বতন্ত্র চেতনার মিলনের দিকে পরিচালিত করে, যা মন এবং শরীর, মানুষ এবং প্রকৃতির মধ্যে একটি নিখুঁত সাদৃশ্য নির্দেশ করে।নিজের অসুখ নিয়ে সেই যে শুরু, আজ তিনি নিজেই যোগের প্রশিক্ষক । ইতিমধ্যেই তিনি যোগাগুরু জয়ন্ত দাসের হাত থেকে যোগ প্রশিক্ষকের সংসাপত্র ও যোগ সম্বলিত পুস্তক অর্জন করেছেন। সাল টা ছিল ২০১২।উত্তর ২৪ পরগনার বেলঘরিয়ার ২ নম্বর খেলার মাঠে নিয়মিত যেতে হত ৪৫০ সুগার নিয়ে চিত্রা কে ।সুগার নিরাময় হবার পর আর পেছনের দিকে তাকাননি বেলঘড়িয়ার চিত্রা দে। ঘর সংসার সামলে ২০১৩ থেকেই পার্শ্ববর্তী “খেলাঘর” ক্লাবের যোগা শিক্ষার্থীর সঙ্গে নিয়মিত চর্চা করার পর হরিদ্বারের রামদেব বাবার আশ্রমের যোগা প্রশিক্ষক পি, কে ভোমিকের কাছে ২০১৪ থেকে আসল শিক্ষা শুরু হয় । বর্তমানে সুগার, প্রেসার, থাইরয়েড, বাত এবং জয়েন্ট পেইন এমনকি মূখমণ্ডল ও কানের উপশমের যোগাভ্যাস শেখান মধ্য বয়স্কা চিত্রা। তাঁর মতে যোগের সাহায্যে সম্পূর্ণ রোগ নিরাময় করা সম্ভব।

কারণ যুগের মূল মন্ত্র “কর যোগ রহ নিরোগ”। ভারতীয় আয়ুর্বেদী ছাত্রের ভূমিকা এবং যোগের ভূমিকা অপরিসীম | আগারপাড়ার ৬৫ বয়সী রোগী প্রীতি বিশ্বাস এসেছিলেন হাঁটুর ব্যাথা নিয়ে চিত্রার কাছে, নিজের কাছে একরকম চ্যালেঞ্জ নিয়েই তাঁকে সুস্থ করেছেন চিত্রা আকু প্রেসারের সহায়তায় ।

চিত্রা বর্তমানে ২৫ থেকে ৭০ বছর পর্যন্ত যোগ প্রশিক্ষণের শিক্ষা দিচ্ছেন নিয়মিত আগরপাড়া , সোদপুর, বেলঘড়িয়া ,বরানগর এমনকি কলকাতার বিস্তীর্ণ অঞ্চলে।
আগামী দিনের চিত্রা বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনের সঙ্গে যুক্ত হয়ে মানুষের মনে যোগাভ্যাসের দ্বারা রোগ নিরাময় সঠিক প্রশিক্ষণ দিতে বিনামূল্যে করারও ইচ্ছা প্রকাশ করলেন।
চিত্রা দে
(যোগা প্রশিক্ষক)
৬৩ তরুণ পল্লী ,
ডি পি নগর,
কোলকাতা… ৫৬ ।