লোকসভার সেমিফাইনালে তিনরাজ্যে পদ্ম ঝড়
সংবাদদাতা : চার রাজ্যের বিধানসভা ভোটকে বলা হচ্ছিল ২৪’এর লোকসভা ভোটের সেমিফাইনাল। সেই সেমিফাইনালে দেখা গেল হিন্দি বলয়ের তিন রাজ্যে মোদি ঝড়। রাজস্থান এবং মধ্যপ্রদেশ হাতছাড়া করে একমাত্র তেলেঙ্গানায় কংগ্রেসের জয়।
রাজস্থানের ১৯৯টি আসনের মধ্যে বিজেপি ১১৫টিতে এবং কংগ্রেস ৭০টিতে জয়ী হয়েছে। মধ্যপ্রদেশের ২৩০টির মধ্যে বিজেপির দখলে ১৬৫টি এবং কংগ্রেস পেয়েছে মাত্র ৬৪টি। ছত্তিসগড়ের ৯০টি আসনের মধ্যে বিজেপি জিতেছে ৫৬টিতে এবং কংগ্রেস পেয়েছে ৩৪টি। তেলেঙ্গানায় ১১৯টির মধ্যে ৬৩টি আসন ছিনিয়ে নিয়ে কংগ্রেস সরকার গড়ার পথে, বিজেপির ঝুলিতে মাত্র ৯টি আসন।
রাজস্থানে এবং ছত্তিসগড়ে ‘হাত’ সরিয়ে ‘পদ্ম’ ফোটায় প্রধানমন্ত্রী ‘এক্স হ্যান্ডেল পোস্ট’এ ভোটারদের কাছে তাঁর কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন, আমরা মানুষের কল্যাণের জন্য অক্লান্ত পরিশ্রম করে যাব। তেলেঙ্গানার হার স্বীকার করে জানিয়েছেন, এখানকার মানুষের পাশে থাকব, তাদের হয়ে কাজ করে যাব।
মধ্যপ্রদেশের বুধনি থেকে জয়ী বিজেপির হেভিওয়েট নেতা, শিবরাজ সিং চৌহান বলেছেন, এবার বাংলাতেও জয়ী হবে বিজেপি। তবে মনে করা হচ্ছে মধ্যপ্রদেশে বিজেপি’র জয়ের প্রধান কারণ হল, ‘লাডলি বহেনা’ প্রকল্প। বাংলার ‘লক্ষ্মী ভান্ডার’এর মতোই মহিলাদের অনুদান প্রকল্প হল ‘লাডলি বহেনা’। এই রাজ্য থেকেই জয়ী হয়েছেন আরও এক বিজেপি হেভিওয়েট নেতা, কৈলাশ বিজয়বর্গীয়।
তিন রাজ্যের জয় পিছিয়ে পড়া বঙ্গ বিজেপিকে চাঙ্গা করে দিয়েছে। আবির, বাজনা নিয়ে রীতিমতো উৎসবের মেজাজে রাস্তায় নেমে পড়েন বঙ্গ বিজেপি’র নেতানেত্রীরা। ‘ভারতমাতা কী জয়’ আর ‘জয় শ্রীরাম’এর দাপটে ঠাহর করা মুশকিল জয়টা কোথায় হয়েছে। বিরোধি নেতা, শুভেন্দু অধিকারী জানান, লোকসভা ভোটে মোদি সুনামি হবে। ২০২৬ পর্যন্ত টিকবে না তৃণমূল সরকার। এই জয়, দেশ বিরোধি চোরদের গালে বিশাল চড় কষিয়েছে। এদের যাওয়ার সময় হয়ে এসেছে। দেখবেন, এদের কী করি! এবার চলবে সাঁড়াশি আক্রমণ।
তবে কংগ্রেসের এই ব্যাপক হারের পর অশোক গেহলট বা কমলনাথের মতো প্রভাবশালী নেতাদের অবস্থান কংগ্রেসের অন্দরে কোথায় থাকবে, বা আদৌ থাকবে কী না, সেটাই এখন বিরাট প্রশ্নচিহ্ন। চার রাজ্যের লোকসভা ভোটের ফলাফল প্রকাশ হবার পরই বিজেপি বিরোধি ‘ইন্ডিয়া জোট’এর মিটিং হয়। কীভাবে আগামী লোকসভায় কেন্দ্রের মোকাবেলায় সর্বশক্তি দিয়ে নামা হবে, সেই বিষয়ে আলোচনা হয়।