প্রয়াত সাহারা কর্তা সুব্রত রায়
সংবাদদাতাঃ নিউ দিল্লিঃ গত ১৪ নভেম্বর, রাত সাড়ে দশটা নাগাদ সাহারা কর্তা সুব্রত রায়, ধীরুভাই আম্বানি হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৫ বছর। দীর্ঘদিন ধরে তিনি অসুস্থ ছিলেন। শারীরিক অবস্থার আরও অবনতি হওয়ায় তাঁকে গত ১২ নভেম্বর, রবিবার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানেই তিনি শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। সাহারা কর্তা দীর্ঘদিন ধরে হাইপারটেনশন, ডায়াবিটিস এবং মেটাস্টেটিক ক্যান্সারে ভুগছিলেন।
ওইদিন কার্ডিও রেসপিরেটরি অ্যারেস্ট হয়। সাহারা কর্তার চলে যাওয়াতে যথারীতি বেদনাহত, শোকাচ্ছন্ন সাহারা পরিবার।১৯৪৮ সালের ১০ জুন বিহারের আরারিয়ায় জন্ম সুব্রতর। মেকানিক্যাল ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত ১৯৭৬ সালে চিটফান্ড ব্যবসা শুরু করেন। মাত্র দু’বছরে ফুলেফেঁপে ওঠেন। তাঁর সংস্থা, ‘সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার’ সেই সময় দেশের বৃহত্তম সংস্থায় পরিণত হয়। সংবাদ মাধ্যম, অর্থনীতি, রিয়েল এস্টেট, বিভিন্ন ক্ষেত্রে তাঁর বিনিয়োগ ছিল। ‘সাহারা ইন্ডিয়া পরিবার’এর নামে আস্ত একটা সাম্রাজ্য গড়ে তুলেছিলেন।
১৯৯২ সালে সুব্রত ‘রাস্ট্রীয় সাহারা’ নামে একটি হিন্দি সংবাদপত্র চালু করেন। এরপর পুণের কাছে বহুচর্চিত ‘অ্যাম্বি ভ্যালি সিটি’ প্রকল্প। ‘সাহারা টিভি’র(পরে সাহারা ওয়ান)মাধ্যমে টেলিভিশন জগতেও প্রবেশ করেন। লন্ডনের ‘গ্রসভেনর হাউজ’ হোটেল এবং নিউ ইয়র্কের ‘প্লাজা’ হোটেল অধিগ্রহণ করেন।
সাহারা ইন্ডিয়া হল ভারতের দ্বিতীয় বৃহত্তম কর্মসংস্থা, এমনটাই উল্লেখ করেছিল টাইম ম্যাগাজিন। সেই সময় তাদের কর্মীসংখ্যা ছিল ১২ লক্ষ।
কিন্তু এত সাফল্য ধরে রাখতে পারেননি সাহারা কর্তা। চিটফান্ডে বিপুল টাকা তছরূপের কারণে, দেশের ৯ কোটি মানুষের টাকা নয়ছয় করার কারণে তাঁর ঠাই হয় তিহাড় জেলে। পরে তিনি প্যারোলে বেরিয়ে আসেন। পরের দিকে ‘সাহারা ইভোলভস’ বিদ্যুৎচালিত গাড়ির ব্যবসার দেখভাল করতেন। অনলাইন শিক্ষার সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন।