দিপাবলির আগে প্রচুর পরিমাণে নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার
নিউজ ডেস্ক : সাম্প্রতিক অতীতে সারা বাংলা দেখেছে কীভাবে গোপনে বাজি তৈরি করতে গিয়ে বা বাজির কাঁচামাল মজুত রাখতে গিয়ে বিস্ফোরণে নিহত হয়েছে শিশু থেকে বৃদ্ধ। ভয়ানক ভাবে আহত হয়েছে আরও অনেকে। এমনকী বাড়িতে বাজি বা তার কাঁচামাল মজুত রাখা এবং হঠাৎই তাতে বিস্ফোরণ ঘটে বলি হয়েছে অনেক নিরীহ প্রাণ। কিন্তু তবুও মানুষের টনক নড়ে নি।
সরকারের পক্ষ থেকে নিষিদ্ধ বাজি বানাতে এবং মজুত করতে বারণ করা হলেও গোপনে তাদের অবৈধ ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে বাজির কারবারিরা। পশ্চিমবঙ্গ সরকার প্রত্যেক বাজি প্রস্তুতকারক সংস্থা এবং বাজি বিক্রেতাদের বারংবার সবুজ বাজি বিক্রি করার আবেদন জানিয়ে আসছে। কিন্তু সরকারকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে বাজির কারবারিরা বহাল তবিয়তে চালিয়ে যাচ্ছে তাদের অবৈধ ব্যবসা। বুধবার রাতে হাওড়া সিটি পুলিশের অন্তর্গত লিলুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক, সঞ্জয় শ্রীবাস্তবের নেতৃত্বে, লিলুয়া থানার পুলিশ প্রায় ১,৬২৮ কেজি নিষিদ্ধ শব্দবাজি সমেত বিভিন্ন রকম বাজি উদ্ধার করে বাজেয়াপ্ত করেছে। লিলুয়া থানার অন্তর্গত জগদীশপুর মোড়ে একটি টাটা এসি গাড়িতে ৬৫০ কেজি বাজি পাওয়া যায়। এছাড়া চকপাড়া নতুনপল্লী এলাকার একটি বাড়ির মধ্যে ৮২৮ কেজি বাজি এবং লিলুয়া উদয়গড় কলোনির জনৈক ব্যক্তি, দীপক সাহার বাড়ি থেকে ১৫০ কেজি নিষিদ্ধ বাজি উদ্ধার করা হয়। লিলুয়া উদয়গড় কলোনির দীপক সাহা এবং লিলুয়া নতুনপল্লী এলাকার গোবিন্দ সাঁতরা ওরফে ভুটানকে আটক করেছে লিলুয়া থানার পুলিশ। পূর্ব অভিজ্ঞতা থাকার ফলে এই ঘটনার জেরে সাধারণ মানুষের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়েছে, চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। হাওড়া পুলিশের তরফ থেকে সূত্র মারফত জানা গেছে ওই দুই ব্যক্তিকে অচিরেই তোলা হবে হাওড়া আদালতে।