
হাওড়ায় বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ড
নিউজ ডেস্ক : বিধ্বংসী অগ্নিকাণ্ডে ভস্মিভূত হাওড়ার ফরশোর রোডের ধারে একাধিক গোডাউন এবং কারখানা। শুক্রবার সকাল ছটা নাগাদ প্রথমে একটি কাপড়ের গোডাউনে আগুন লাগে। মুহূর্তের মধ্যে গোডাউনটিকে আগুন গ্রাস করে নেয়। এরপর একটি ভুষির গোডাউন, প্লাস্টিকের ব্যাগ তৈরীর কারখানা, একটি চটের গোডাউন এবং কারখানায় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। মোট পাঁচ থেকে ছটি কারখানায় দাউ দাউ করে আগুন জ্বলতে থাকে।

আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে কালো ধোঁয়া আকাশ ছেয়ে যায়। প্রায় দেড় কিলোমিটার দূর থেকে কালো ধোঁয়ার স্তম্ভ দেখা যায়। জ্বলন্ত গোডাউনের পাশে একটি পেট্রোল পাম্প থাকায় গোটা এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনাস্থলে ছুটে আসে শিবপুর ও হাওড়া থানার পুলিশ। দমকলে খবর দেওয়া হলে একে একে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে পনেরোটা ইঞ্জিন। পুলিশের পক্ষ থেকে পেট্রোল পাম্প বন্ধ করে দেওয়া হয়। যাতে বড় ধরনের কোন বিপর্যয় না ঘটে। দমকল কর্মীরা পেট্রোল পাম্পের ছাদে উঠে একাধিক ইঞ্জিন থেকে জল ঢালতে শুরু করে। অন্যান্য দমকল ইঞ্জিন থেকে গোডাউন এবং কারখানার চারপাশ থেকে জল ঢেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়। আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি ছিল যে সবকটি গোডাউন কার্যত পুড়ে ছাই হয়ে যায়। টিনের চালের ছাদ ভেঙে পড়ে। দুমড়ে মুচড়ে যায়। স্থানীয় বাসিন্দারা জানিয়েছেন ধনতেরাস উৎসবের দিনে আগুন লাগায় তারা যথেষ্ট আতঙ্কিত। পাশে পেট্রোল পাম্প থাকায় তারা আরো বেশি আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। পুলিশের পক্ষ থেকে ফরশো রোডের যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়। ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন হাওড়া সিটি পুলিশের কমিশনার প্রবীণ কুমার ত্রিপাঠী এবং দমকলের পদস্থ আধিকারিকরা। প্রায় চার ঘন্টা পরে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। দমকলের ডেপুটি ডিরেক্টর শামচরণ মন্ডল জানিয়েছেন কি কারণে আগুন লাগল তা এখনও স্পষ্ট নয়। তা তারা তদন্ত করে দেখবেন। তবে আগুন লাগার কারণে বেশ কিছু কারখানা এবং গোডাউন পুড়ে যায়। জলের অভাবের কারণে পাশে গঙ্গা থেকে পাম্পের সাহায্য জল নিয়ে আসা হয়।ঘটনাস্থলে আসেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু।তিনি সবকিছু খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন দমকল আধিকারিকদের।

