বিচারপতি পদ থেকে রাজনীতিতে কতটা মসৃণ হবে পথ

বিচারপতি পদ থেকে রাজনীতিতে কতটা মসৃণ হবে পথ

পিনাকী চৌধুরী : কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি পদ থেকে ইস্তফা দিলেন অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। জল্পনা চলছিল, তবে ডাকযোগে ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রোপদী মুর্মুর কাছে তিনি তাঁর ইস্তফাপত্র পাঠিয়ে দেওয়ার অব্যবহিত পরেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ঘোষণা করলেন যে সম্ভবত আগামী ৭ মার্চ তিনি বিজেপিতে যোগদান করবেন। বস্তুতঃ গত তিন বছর ধরেই অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় রাজ্যের একের পর এক মামলায় দৃষ্টান্তমূলক নির্দেশ দিয়েছেন। কিন্তু কেন বিজেপি তে ? অভিজিৎ বাবু বলেছেন ” সর্বভারতীয় দল হিসেবে বিজেপি এই রাজ্যে তৃণমূলের দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়ছে। ” কিন্তু কেন সিপিআইএম অথবা কংগ্রেসে নয় ? অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় বলেন ” আমি ঈশ্বরে বিশ্বাসী। আর সিপিআইএম তো নাস্তিকতায় বিশ্বাস করে। এছাড়াও কংগ্রেস হল বংশপরম্পরায় জমিদারদের দল !” একদা মিত্র ইনস্টিটিউটশনের ( মেন ) কৃতী ছাত্র অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় ১৯৭৯ সালে শিক্ষা সমাপনে হাজরা ল কলেজে আইন পড়তে আসেন । বেশ সংস্কৃতিমনস্ক মানুষ বরাবরই ! সেই সময় তিনি ‘ অমিত্র চন্দ্র ‘ নামের একটি বাংলা রঙ্গমঞ্চের সাথে যুক্ত ছিলেন। অবসর সময়ে এখনও তিনি বই পড়েন। তবে এই প্রথম নয় , অতীতেও একাধিকবার বিচারপতির পদ থেকে সরাসরি রাজনীতির অঙ্গনে এসেছিলেন অনেকেই। যেমন – বিচারপতি এ এম থিপসে , বিচারপতি বিজয় বহুগুণা, বিচারপতি বাহারুল ইসলাম , প্রমুখ ব্যক্তিত্ব।‌ এই বাহাদুরকে নিয়ে অতীতের একসময় কম বিতর্ক হয় নি। একটা সময় বিচারপতি বাহারুল কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন। ১৯৬২ এবং পরে ১৯৬৮ সালে তিনি রাজ্যসভায় নির্বাচিত হন। আর সেই বাহারুল ইসলাম ১৯৭২ সালে রাজ্যসভায় ইস্তফা দিয়ে ফের গুজরাট হাইকোর্টের বিচারপতি হন । এখানেই শেষ নয়। অবসরের প্রায় ৯ মাস পর তিনি সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। প্রসঙ্গত, অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় এখন আদালত ছেড়ে সম্পূর্ণ নতুন ও আনকোরা রাজনীতির অঙ্গনে কতটা সাবলীল হন এবং কতোটা মসৃণ ভাবে পথ চলতে সক্ষম হবেন, এখন সেটাই দেখার !

CATEGORIES
Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )