কলকাতায় থিমের দূর্গা পুজো

কলকাতায় থিমের দূর্গা পুজো

পিনাকী চৌধুরী : হাতে আছে গোনাগুন্তি আর কয়েকটা দিন। কুমোরটুলিতে মৃৎশিল্পীদের চূড়ান্ত ব্যস্ততা, এলাকায় এলাকায় সুদৃশ্য মন্ডপ নির্মাণ ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গেছে ! শরৎ ঋতুতে আবারও বাঙালি উৎসবমুখর হবে। বস্তুতঃ এই ২০২৩ সালে কিন্তু পুজো শপিং থেকে প্যান্ডেল হপিং – সবেতেই একে অপরকে টেক্কা দিতে প্রস্তুত হচ্ছেন। বাংলায় দুর্গাপুজোর প্রচলন বহু কাল আগে। পরাধীন ভারতে কতিপয় রাজা এবং জমিদার বাড়িতে এই দুর্গোৎসব অনুষ্ঠিত হত। মূলত জমিদাররা নিজের ক্ষমতা জাহির করতেই নিজেদের বাড়িতে ব্যয়বহুল দুর্গোৎসব করতেন। কিন্তু তার অনেক পরে হুগলি জেলার গুপ্তিপাড়ায় সেন বাড়ির পুজোতে অংশ না নিয়ে ১২ জন বন্ধু মিলে পৃথকভাবে পুজো করবার সিদ্ধান্ত নিলেন। ১২ জন বন্ধু বা ইয়ারের হাতে তৈরি পুজো হয়ে উঠলো বাংলার প্রথম বারোয়ারি পুজো। তবে সেটি ছিল জগদ্ধাত্রী পুজো। ১৭৬০ এর কথা, মতান্তরে ১৭৯০ । কিন্তু কলকাতার প্রথম বারোয়ারি পুজো কোনটি ? বলা হয়ে থাকে, সনাতন ধর্মোৎসাহিনী সভার পুজোই হচ্ছে কলকাতার প্রথম বারোয়ারি পুজো। ১৯০৯ সালে ভবানীপুরে আদি গঙ্গার তীরে বলরাম বসু ঘাট রোডে শুরু হওয়া সেই সুপ্রাচীন পুজো এখনও রয়েছে। ইদানিংকালে আবার অসংখ্য পুজো কমিটি থিম পুজোর দিকে ঝুঁকেছে। কিন্তু কলকাতায় কবে প্রথম শুরু হয়েছিল এই থিম পুজো ? ১৯৮৫ সালে কলকাতার আনাচে কানাচে একটি বিজ্ঞাপন সকলের নজর কেড়েছিল। ‘ শুদ্ধ শুচি – সুস্থ রুচি ‘ – আপাতনিরীহ এই ছোট্ট ক্যাপশনটা কলকাতার পুজোর ঘরানাকে আমূল বদলে দিল ! সৌজন্যে – একটি রঙ প্রস্তুতকারক সংস্থা। আক্ষরিক অর্থেই যেন বিপ্লব সংঘটিত হল ! মূলত তখনই যেন অনেক পুজো কমিটি প্রতিমা নির্মাণে অভিনবত্ব আনলেন। মন্ডপ নির্মাণ এবং আলোকসজ্জায় সুস্থ রুচির পরিচয় দিতে থাকলেন। মূলত তারও প্রায় দশ বছর পরে ১৯৯৫ সাল থেকে কলকাতার অনেক পুজো কমিটি থিমের পুজোর দিকে ঝুঁকেছে ।।

CATEGORIES
Share This

COMMENTS

Wordpress (0)
Disqus ( )