
অচেনা বাঁকুড়ার কোলে
নিউজ ডেস্ক : পাহাড়, জঙ্গল, ড্যাম, নদী, স্থাপত্য আর ইতিহাস নিয়ে বাঁকুড়া। বাংলার অতি সমৃদ্ধ এক জেলা। বাঁকুড়া বলতে আমাদের মনে আসে টেরাকোটার বিষ্ণুপুর বা মুকুটমণিপুর। কিন্তু আমি আপনাদের জানাব বাঁকুড়ার কিছু অফবিট ডেস্টিনেশন। এই হেমন্তে বা আগত শীতে ২-৩ দিনের জন্য রুকস্যাক গুছিয়ে বেরিয়ে পড়ুন।
বাঁকুড়ার শীলাবতী নদী এবং কংসাবতী ক্যানেলের সঙ্গমস্থলে রয়েছে কামদেউলি বাঁধ, বিষ্ণুপুর থেকে ৬০ কিমি। ইন্দপুর ব্লকের অপূর্ব প্রাকৃতিক পরিবেশের মধ্যে অবস্থিত এই ড্যাম। কাছেই রয়েছে সবুজে ঘেরা এক অনুচ্চ টিলা।

বাঁকুড়ার আরও এক অসাধারণ স্পট, তালবেড়িয়া ড্যাম। শীতে যেখানে এসে সাময়িক বাসা বাঁধে পরিযায়ীর দল। বসে পিকনিকের আসর। বিষ্ণুপুর থেকে তালবেড়িয়ার দূরত্ব মাত্র ৪০ কিমি।বাঁকুড়াকেই বুড়ি করে ঘুরে আসা যায় কংসাবতীর গা ঘেঁষে বরদি পাহাড়। দেখতে ছোট হলেও পাহাড়ি প্রকৃতির যাবতীয় বৈশিষ্ট্য পাবেন এই বরদি পাহাড়ে। বাঁকুড়া থেকে ৫০ কিমি দূরে পিররগাড়ি, সেখান থেকে ঢিলছোঁড়া দূরত্বে বরদি। এই পাহাড়ে দেখতে পাবেন সমভূমি, মালভূমির গাছপালা, সেইসঙ্গে পাহাড়ি ক্যাকটাস ৷

একই সফরে দেখে নিতে পারেন ঝিলিমিলি, মুকুটমণিপুর এবং অম্বিকানগর। তাছাড়া টেরাকোটার শহর বিষ্ণুপুরে রয়েছে অসাধারণ সব মন্দির।
কীভাবে যাবেন – ট্রেনে অথবা গাড়িতে বাঁকুড়া বা বিষ্ণুপুর। তারপর ভাড়ার গাড়িতে ঘুরে নিন স্পটগুলো। গরম বাদ দিয়ে সারা বছর যাওয়া যেতে পারে।
কোথায় থাকবেন – বাঁকুড়া এবং বিষ্ণুপুরে প্রচুর হোটেল, রিসর্ট আছে। বিষ্ণুপুরে রয়েছে সরকারি ট্যুরিস্ট লজ।

